ফরিদপুর জেলার কৃষকরা পাট কাটা, জাগ দেওয়ায় এবং পাট থেকে আঁশ বের করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার জেলায় গতবছরের চেয়েও পাটের চাষ ভালো হয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়,জেলার বেশির ভাগ কৃষক হয় পাট কাটছেন, না হয় জাগ দিচ্ছেন। তাঁরা জানান, ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই সোনালি আঁশ বাজারে উঠতে শুরু করবে।
জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছে কৃষক। কৃষকরা পাট কেটে নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং বাজারে বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে, নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে
এ বিষয়ে পাট চাষী জাফর খাঁন বলেন, পাটের ভালো রং পাওয়ার জন্য পাট কেটে মাঠেই ফেলে রেখেছিলাম। পাট বেশি শুকিয়ে গেলে আবার ভালো আঁশ পাওয়া যায় না। তাই জাগ দিচ্ছি। এতে ভালো মানের পাট পাওয়া যায়।
আরেক চাষি আফছার মোল্লা জানান, ধান লাগানোর জন্য তিনি সবার আগেই পাট কেটে ছিলেন। তাই তিনি এখন পাট থেকে আঁশ বের করছেন।
তিনি আরো জানান, এবার পাটের ফলন বেশ ভালো হবে। পাটে আঁশের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।
জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ২৮০০ টাকা মণ ও নিম্ন মানের পাটের মূল্য ২৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মূল্য পেয়ে চাষিদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
সুজন রাজবংশী নামে এক কৃষিবিদ বলেন,ফরিদপুরের কৃষকরা এখন পাট কাটা, পরিবহন, জাগ দেওয়ার কাজে ব্যস্ত। চলতি বছরে পাটের বিছা পোকার আক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম ছিলো। এবার পাটের ফলন ভালো হবে বলে আশা করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/সা.চ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :