নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে সানিয়া আক্তার (১৯) হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।
শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ পাঁচশতাধিক নারী-পুরষ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে একই গ্রামের কিশোর-কিশোরী সানিয়া ও সোহাগ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। এই নিয়ে ২২ বছর বয়সী স্বামী সোহাগের পরিবারে কলহ সৃষ্টি হয। সানিয়া আক্তারের পরিবারে বাবা-মা না থাকায় নিরুপায় হয়ে কলহ সহ্য করে সংসার শুর করতে থাকেন। তিন মাস আগে এই দম্পত্তির এক ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। গত শুক্রবার দুপুরে সানিয়াকে হত্যা করে পালিয়ে যায় সানিয়ার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
নিহত সানিয়া সদর উপজেলার কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী গ্রামের মৃত শফিউল্লাহর মেয়ে। অভিযুক্ত ২২ বছর বয়সী স্বামী সোহাগ মিয়া একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। সানিয়া হত্যা মামলায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত শনিবার বিকেলে সোহাগকে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবা (৪ আগস্ট) ডৌকাদি গ্রামে শ্বশুর-শ্বাশুরি ও স্বামী মিলে সানিয়াকে হত্যা করেছে। এরপর তারা স্থানীয় থানা পুলিশ ম্যানেজ করে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। সানিয়ার ভাই রিপন মিয়া মাধবদী থানায় একটি মামলা করেছেন।
নিহতের ছোট ভাই হযরত আলী বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে তার বোন সানিয়াকে মারধর করে হত্যা করেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রায় সময় শ্বশুর, শাশুরি ও স্বামী সোহাগ এবং তার বোন সানিয়াকে মারধর করতো। শুক্রবার বিকেলে খবর পাই সানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি সানিয়ার মরদেহ বসত ঘরের সামনে মাটিতে রাখা। এসময় সোহাগ ও তার পরিবারের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে গ্রামবাসি সোহাগকে আটক করে পুলিশে দেয়।
সানিয়ার বড় ভাই রিপন মিয়া বলেন, তার বোন জামাই সোহাগসহ তার পরিবারের লোকজন সানিয়াকে হত্যা করেছে। পরে খবর পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং স্বামী সোহাগকে আটক করে। বোন হত্যার বিচার চেয়ে মাধবদী থানায় মামলা করেছি। কিন্তু ওই মামলায় পুলিশ অন্য আসামীদের বাদ দিয়ে শুধু সোহাগকে আসামী করেছে। স্বজনরা সানিয়া হত্যার সঠিক তদন্তের দাবি করেন এবং দোষীদের দ্রত আইনের আওতায আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেন।
একুশে সংবাদ/সা.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :