সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এখন বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের মোকামি চারা কেনাবেচা হচ্ছে। এক পণ চারা (৮০ মুঠো) ৩৮০ থেকে ৪ শ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।
উল্লাপাড়ায় এবারের মৌসুমে ১১ হাজার ৪০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে। কৃষকেরা প্রায় ২ শ ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের নিজস্ব বীজতলা করেছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা রোপা আমন ধানের আবাদ শুরু করেছেন। কৃষকেরা নিজস্ব বীজতলার চারা কিংবা হাট থেকে কেনা চারা জমিতে লাগাচ্ছেন ।
উল্লাপাড়া উপজেলার পৌরসভার কাওয়াক মোড়ে বিগত বছরগুলোর মতো এবারেও রোপা আমন ধানের চারা কেনাবেচা চলছে। গত সপ্তাহ দেড়েক হলো আট থেকে দশ জন ব্যবসায়ী এখানে চারা বিক্রি করছেন । এরা বিভিন্ন মোকাম এলাকা থেকে নানা জাতের রোপা আমন ধানের চারা কিনে এনে বিক্রি করছেন।
প্রতিবেদককে চারা ব্যবসায়ী চান মিয়া , আতাই প্রামাণিক বলেন বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা চারা কিনে এনে বিক্রি করছেন। কৃষকদের চাহিদায় স্বর্ণা - ৫ , ব্রি ধান ৩৯ , ব্রি ধান -৪১ জাতের চারা বেশী পরিমাণ আমদানী আর বেশী কেনাবেচা হচ্ছে । এক পণ চারা ৩ শ ৮০ টাকা থেকে ৪ শ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি মাত্রায় কম হলেও বাড়ছে। এতে রোপা আমন ধানের চারার চাহিদা একটু কম বলে জানানো হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন গতকাল বুধবার ১৬ আগষ্ট অবধি গোটা উপজেলায় ৭ হাজার ৮৮০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধানের চারা লাগানো হয়েছে।এখন কম দিনে ধান ফসল ঘরে উঠে এমন সব জাতের ধান আবাদে কৃষকেরা ঝুকেছেন। এর আবাদ কৃষকেরা আগ্রহ নিয়ে করছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা স্বল্প মেয়াদী জাতের ব্রি ধান - ৮৭ , ব্রি ধান - ৭৫, ব্রি ধান - ৭১ , ব্রি - ৯০ এবং বিনা ধান -২২ ও বিনা ধান - ১৭ এর আবাদ করছেন। এছাড়া একেবারে নতুন একটি জাত ব্রি ধান - ১০৩ এর আবাদ বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । তিনি আরো বলেন কৃষকদেরকে স্বল্প মেয়াদী বলতে কম দিনে ফসল ঘরে উঠে এমন জাতের ধান আবাদে অনেক আগে থেকেই উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের সহায়তায় স্বল্প মেয়াদী জাতের ধানের প্রদর্শনী প্লট করা হচ্ছে । কৃষক ও কৃষাণীদের নিয়ে উঠান বৈঠক করা হচ্ছে । একেবারে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে উন্নত জাতের ও বেশী হারে ফলন মেলে এমন সব ফসলের আবাদে উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে অনেক কৃষক রোপা আমন ধানের বীজতলা করে টাকা আয় করছেন।
একুশে সংবাদ/স.স.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :