সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকায় দির্ঘ দিন থেকে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত বাল্কহেড চলাচলে উত্তাল ঢেউ আর প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন, হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীর ঘেঁষা গ্রাম,বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা,সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা।
গত ২০ বছরে কাঞ্চনপুর ও হরিপুর গ্রামের ১০০ টির উপরে পরিবারের জমি বসত-ঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। উপজেলার নদী-তীরবর্তী গ্রামের শত শত পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার নদী পাড়ের দোহালিয়া ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর ও হরিপুর গ্রাম নদী ভাঙনের কবলে পরেছে, হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।
দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে অতিমাত্রায় ভাঙন দেখা দেয়ায় কাঞ্চনপুর গ্রামের অর্ধেক অংশ এখন নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভাঙন আরও বড় আকার ধারণ করার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তীব্র ভাঙনে বসতবাড়ি বিলিন হয়ে গেলেও জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ এলাকার ভাঙন কবলিতরা।
স্থানীয়রা জানায়,অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচলকারী বালুর বাল্কহেড বন্ধ না হলে তীরবর্তী গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাবে।পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে মানুষ। নদী ভাঙ্গন নামের আতঙ্ক যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় নদীর পাড়ের খেটে খাওয়া মানুষের চুখে ঘুম নেই।
কাঞ্চনপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হক বলেন,এই নদীতে তাদের ৪ একর জমি বিলীন হয়েছে। তাদের অবশিষ্ট বসতবাড়িতেও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা না নিলে তাদের বসত-ভিটা শেষ অংশটিও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
হরিপুর গ্রামের সুনিল অধিকারী বলেন, আমাদের গ্রামের প্রায় ২০টি ঘর আজ সুরমার নদী গর্ভে,দিনমুজুরি করে পরিবার চালাই নতুন জমি নিয়ে ঘর তৈরি করা সামর্থ্যের বাইরে।
জানতে চাইলেদোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামিমুল ইসলাম বলেন, গ্রামটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাবর আবেদন করেছি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন ঠেকাতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে নদীর গুলো যে স্থানে প্রতিবছর ভাঙন শুরু হয় সেগুলোর তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :