বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে উনিশ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী গৃহ-পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউছুফ মিয়া (৬০) নামে এক গৃহ কর্তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় এলাকাব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইউছুফ গাঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহ-পরিচারিকার মা বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ওই তরুনীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত ইউছুফ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর গ্রামের জমদ্দার বাড়ির মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর গ্রামের জমদ্দার বাড়ির ইউসুফের ঘরে গৃহ-পরিচারিকার কাজ করতো একই এলাকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই তরুনী। এরই সুযোগে ইউসুফ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিন মাস ধরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই তরুনীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার ১৪ আগস্ট ইউছুফ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানায় ভুক্তভোগী ওই তরুনী। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইউছুফ গাঢাকা দেন।
এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ইউসুফের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, আমার দেবর তৈয়ব এর সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করতে চেষ্টা করছে তারা। মেয়ের মাকে দিয়ে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে তারা।
তৈয়বের স্ত্রী কুসুম বেগম বলেন, পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে আমরা পনের দিন ঢাকায় ছিলাম। এব্যাপারে কিছু জানিনা। নিজের স্বামীর অপকর্ম ডাকতে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই তরুনীর বাবা বলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ইউছুফের ছেলে আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ধর্ষণের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চাই।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ছা.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :