সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের নির্মাণাধীন মার্কেট ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় রোববার (২৭ আগস্ট) গুরুদাসপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুক লাইভের ভিডিওতে দেখা গেছে, ২৪ আগস্ট সকালে একদল যুবক ইটের গাঁথুনি ভাঙ্গছে। এসময় মাঠের পাশে বসে থাকতে দেখা যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধনকে। ভাঙ্গার সময় তাদের বলতে শোনা যায়- সব প্রক্রিয়া শেষ করে তারা মাঠ রক্ষার কাজ করছেন। তাদের বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই। এছাড়া স্থানীয় শিপনের নেতৃত্বে শুরুর প্রায় তিনঘন্টার মধ্যে নির্মাণাধীন ওই মার্কেটের ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মাঠের উত্তরপাশের পাকা সড়ক সংলগ্ন প্রায় ১৫ ফিট প্রস্থ ও ৬৫ ফিট দৈর্ঘ্যের টিনশেড মার্কেটটি অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল। প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ধারী পর্যন্ত গাঁথুনি শেষ হয়েছিল। অথচ একদল দুষ্কৃতকারী জোরপূর্বক ভাংচুর করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের উত্তরপাশের সীমানা থেকে শুরু করে মাঠের কয়েক ফিট ভিতর পর্যন্ত ওই মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছিল। এখন আর মার্কেটের ওয়াল নেই। ভাঙ্গা ইটের স্তুপ পড়ে রয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্র বলছে, প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১ হাজারের ওপরে। অভিভাবকহীন শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার খরচ বহন করতে একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় ৬৫ ফিট প্রস্থ ও ১৩০ ফিট দৈর্ঘ্যের মাঠটির উত্তরপাশে আধাপাকা টিনশেড মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল।
নাজিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. জালাল উদ্দিন জানান, মূলত পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াতে মার্কেট নির্মাণ করছিলেন তারা। এতে খেলার মাঠের কোনো সমস্যা ছিলনা। বরং পুড়নো ভবন অপসারণ করায় দক্ষিণপাশের একাডেমিক ভবনের সামনে মাঠের দৈর্ঘ্য আরো বেড়েছে।
তিনি বলেন, ২৩ আগস্ট পরিচালনা কমিটির বৈঠকে মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই একদল যুবক জোরপূর্বক নির্মাণাধীণ মার্কেটের ওয়াল ভেঙ্গে দিয়েছে। এসময় ওই যুবকেরা অশালীন ভাষায় সভাপতি-শিক্ষকদের গালমন্দও করেন।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন মার্কেটের ওয়াল ভাংচুরের বিষয়টি দুঃখজনক। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে শিপন বলেন, মার্কেট নির্মাণ করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ মাঠের উত্তরপাশের গোলপোষ্টটি ভেঙ্গে ফেলেছে। এতে করে মাঠে খেলা-ধূলা করতে পারছেনা কেউ। তাই তারা নিজেরাই ওয়াল ভেঙ্গে ফেলেছেন।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :