দীর্ঘ পয়ষট্টি বছরেও ময়লা আর্বজনা ফেলার জায়গা নির্ধারন করতে পারেনি ঠাকুরগাঁও পৌর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তন আর নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও আর্বজনা স্থান বদলায়নি। বছরের পর বছর শহরের আশপাশে যত্রতত্র ফেলে রাখা ময়লা ভাগাড়ের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী।
১৯৫৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে ১৯৯৭ সালে এটি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে পৌর এলাকা প্রায় দশ লাখ মানুষের বসবাস।
ঠাকুরগাঁও শহরের বাসষ্ট্যান্ড, গোবিন্দনগর, স্টেশন এলাকাসহ বেশকিছু স্থানে প্রতিদিনিই ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। যদিও সচরাচর দেখা যায় যত্রতত্রভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলেন সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় পরিবেশ দূষনের পাশাপাশি পথচারিসহ দূর্ভোগের যেন শেষ নেই স্থানীয়দের। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায় সবাই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পৌর কর্তপক্ষ নিজেরাই যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। দীর্ঘ পয়ষট্টি বছরেও ময়লার স্থান নির্বাচন করতে পারেনি। অথচ প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা। এটি হচ্ছে জন ভোগান্তির পৌরসভা। সাধারণ মানুষ রিতিমত বিরক্ত। দ্রতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উর্ধতনদের দৃস্টি কামনা করেন তারা।
পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা জানান, শহরের খালগুলো ভড়াট করতেই আশপাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে। জায়গার অভাবে নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে জায়গার বিষয়ে। এরইমধ্যে বেশকয়েকটি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। সকলের সহযোগীতা পেলে এমন ভোগান্তির নিরসন হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, ময়লার জায়গা নির্ধারণ করে লিখিতভাবে সহায়তা চাইলে শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে সহযোগী করা হবে বলে জানান নির্বাহী কর্মকর্তা।
একুশে সংবাদ/আ.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :