শরতের নীল আকাশজুড়ে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা। কখনো কালো মেঘ জমাট বাঁধে, কখনো সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায়, আবার কখনো সূর্যের দহনজ্বালা। এভাবেই পার হয়ে যাচ্ছে শরৎকাল। নওগাঁর নিয়ামতপুরে শুরু হয়েছে আউশ ধান কাটা মাড়াই। উপজেলায় আউশ ধানের ফলন ও বর্তমান বাজার দর ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
নিয়ামতপুর উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে। হেক্টর প্রতি আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৪ মেট্রিক টন।
কৃষকদের মতে, প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপন থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু প্রতি বিঘা জমিতে ধানের ফলন ১৭ থেকে ১৮ মণ হচ্ছে। বর্তমান বাজারে ধানের রকম ভেদে ৮৫০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার আউশ চাষিরা বলছেন, মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ধান গাছে রোগ বালাইয়ের কারণে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়েছে। দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে সেচ দিতে হয়েছে। এজন্য এবার আউশ ধান উৎপাদনে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। তবে আউশের বাম্পার ফলন ও বাজার দর ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, উপজেলায় ৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান রোপন করা হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর আউশ ধানের আবাদ একটু বেশি হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, দুই এক জায়গায় ধানের ফলন কম হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ জমিতেই ধানের ফলন বেশি হয়েছে। দাম ও ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/ই.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :