সময়টা ১৯৯০ সাল। শরীয়তপুরের জহের উদ্দিন মুন্সী পুকুর খনন করার সময় একটি তাজা গ্রেনেড পান। সেটি খেলা মনে করে ৩৩ বছর ধরে আলমারিতে সাজিয়ে রাখেন। বাবার মারা যাবার পর ছেলে জয়নাল আবেদিনও সেটি খেলনা মনে করেই তা রেখে দেন।
গ্রেনেডটি নিয়ে জয়নালের ছেলে ১৫ বছরের জোবায়ের প্রায় সময়ই খেলা করতো।
জোবায়ের তার মামাবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মামার সঙ্গে বসে তামিল সিনেমা দেখার সময় একটি দৃশ্যে গ্রেনেড দেখতে পায়। তখন জোবায়ের মামাকে জানায় তাদের বাড়িতেও এ ধরনের এধরণের একটি জিনিষ রয়েছে। এরপর মামা বাবু মোল্লা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে গত ৩ জুলাই রাতেই জয়নালের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় গ্রেনেডটি।
পুলিশ আদালতের নির্দেশে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট শরীয়তপুর পৌছে বৃহস্পতিবার (৩১) আগস্ট দুপুরে শিবচর থানার সামনের পরিত্যক্ত জায়গায় তিনফুট গর্ত করে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এটি সক্রিয় একটি শক্তিশালী গ্রেনেড ছিল। বিস্ফোরণের সময় বিকট শব্দ ও আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। তাই আমরা জনগণকে অনুরোধ করবো যেন এ ধরনের কোনো বস্তু পেলে দ্রুত পুলিশকে জানায়। শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের ঘটনা।
একুশে সংবাদ/ন.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :