সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ই্উনিয়নের ঘরুয়া গ্রামের সফল হাঁস খামারি আব্দুর রহিম। হাঁস পালন ভাগ্য পাল্টে দিচ্ছে সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজারের গ্রামাঞ্চলের অনেক বেকার যুবকের । আর একজনের সাফল্যে অন্যরাও উৎসাহিত হয়ে গড়ে তুলছে খামার। এতে বৃদ্ধি পাচ্ছে খামার ও খামারির সংখ্যা।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মাংস ও ডিম বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অপরদিকে প্রাণিজ পুষ্টির ঘাটতি পূরণসহ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই হাঁসের খামারগুলো।
এখানকার সফল খামারিদের একজন হলেন আব্দুর রহিম।পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে একটা সয়ম সংসার চালাতে হিমসিম খেতো, পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা সচল করতে ১৯৯৬ সালে অল্প টাকা পুঁজি নিয়ে হাঁস পালন শুরু করেন ২৬ বছর যাবত হাঁস খামারি।
চলতি বছর আব্দুর রহিম,পাঁচ হাজার হাঁস উঠান। এই পাঁচ হাজারের মধ্যে তিন হাজার হাঁসই আড়াই মাস বয়সে বিক্রি করে দেন। এতে তাঁর মুনাফা হয় প্রায় তিন লাখ টাকা। বাকি ১৫০০ হাঁস রেখে দিয়েছেন ডিম দেওয়ার জন্য। ডিমপাড়া হাঁস লালন করলে ডাবল লাভ হয় বলে তিনি জানান। প্রথমত ডিমের লাভ দ্বিতীয়ত ডিম পাড়া শেষ করলে মাংসের জন্য বিক্রি করা হয় হাঁসগুলো।
বৈশাখ,জৈষ্ঠ্যমাস, আষাঢ়, শ্রাবন, কার্তিক, আশিন, পৌষ, মাঘ বছরের মোট ৮ মাসে প্রতিদিন ৯০০থেকে ১০০০ হাঁস ডিম দেয়। প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা আয় করেন । আব্দুর রহিম জানান, হাঁস পালনে অল্প খরচে অনেক লাভ। পুঁজি বেশি খাটালে, লাভের পরিমাণও বেশি হয়। তিনি আক্ষেপ করে জানান, তাঁর পুঁজি কম থাকায় তিনি বড় করে খামার করতে পারছেন না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘হাঁসের খামারিদের আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। ফলে এখানে হাঁস পালন ও খামারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জানিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরো জানান, এসব খামারি পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা ছাড়াও জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। নিম্নাঞ্চল ও চর অঞ্চলের মানুষ যদি বেশি করে হাঁস পালনের দিকে ঝোঁকে, তবে তারা অনেক লাভবান হবে। তাদের বেকারত্ব দূরসহ প্রাণিজ পুষ্টি উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে পারবে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :