নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ সরবরাহ না হওয়ায় তীব্র ঔষধ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রোগীরা পাচ্ছেন না কাংখিত সেবা। সরকারিভাবে ঔষধ সরবরাহ কম থাকায় কর্মরত চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে ভর্তি হওয়া রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। প্রান্তিক ও হতদরিদ্র রোগীরা পড়েছেন মহা বিপাকে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সাড়ে তিন লাখ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার একমাত্র ভরসা। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিঃবিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগে দৈনিক গড়ে প্রায় ৪শ থেকে ৫শ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে। সরকারি বরাদ্দকৃত ঔষধ দিয়ে প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। একজন রোগীর জন্য যেখানে ২ টি কলেরা স্যালাইন প্রয়োজন, সেখানে ১ টি করে কলেরা স্যালাইন দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগী ও স্বজনরা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হবার পর প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ ঔষধই হাসপাতালের ডাক্তারদের দেয়া স্লিপের মাধ্যমে বাহিরের ফার্মেসীগুলো থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঔষধ না পেয়ে হতদরিদ্র রোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিনা চিকিৎসায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। যাদের সামর্থ আছে তারা বাইরের দোকান থেকে ঔষধ কিনে নিচ্ছেন। আর যাদেও সামর্থ নাই তাদেও বিনা চিকিৎসায় বাড়ী ফিরে যেতে হয়। বিশেষ করে কলেরা স্যালাইন অভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধগুলো বাহিরের ফার্মেসীগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পাওয়া গেলেও দাম বেশি নিচ্ছেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুব-উল আলম বলেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইন এর চাহিদা থাকা সত্বেও সব সময় প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ ও স্যালাইন সরকারি ওষুধ সাপ্লাই কোম্পানি থেকে পাওয়া যায় না। তবুও সব সময় চেষ্টা থাকে জনগণের কষ্ট লাঘব করা, যাতে তারা আরো বেশি সেবা পায়। চাহিদা অনুযায়ী সব সময় প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব হয় না।
একুশে সংবাদ/ই.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :