AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা দিয়ে ব্রিজের স্লাব তৈরি


Ekushey Sangbad
সৈয়দ বশির আহম্মেদ, পিরোজপুর
০৬:২২ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা দিয়ে ব্রিজের স্লাব তৈরি

পিরোজপুরের কাউখালীতে ব্রিজ মেরামত কাজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা ব্যবহার করা হয়েছে। কাউখালী উপজেলার  সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের (কাঠালিয়া) নূরুল ইসলামের বাড়ীর সামনে ব্রিজ মেরামতের কাজে  ওই  স্লাব ব্যবহার করা হয়।

 

বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্রিজের তিনটি স্লাব ভেঙে গেছে প্রতিটি স্লাবে রডের পরিবর্তে ৫ টি করে সুপারী গাছের চেরা (স্থানীয় লোকজন যাকে সুপারীর ডাব বলেন) দিয়ে স্লাব ঢালাই করা হয়েছে। ব্রিজের প্রায় সবগুলো স্লাবই ফেটে গেছে।

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধিন এডিপির আওতায় কাউখালী ইউনিয়নে ৬ টি উন্নয়ন কাজের একটি ওই ব্রিজ মেরামত কাজ। মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ, মালিক লাভলু খান ওই ব্রিজ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করেন। কার্যাদেশ মোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।

 

সরেজমিনে গেলে এলাকার বাসিন্দা আব্দূল লতিফসহ উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার তার নিজের এলাকায় বসে স্লাব তৈরি করে নিয়ে এসে ব্রিজে একদিনের মধ্যে স্থাপন করে  চলেগেছেন। কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্লাভগুলোতে ফাঁটল দেখা দেয়। তিন দিন পূর্বে তিনটি স্লাব ভেঙে পড়লে এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী অবাক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও  সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

 

এ বিষয়ে মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ, মালিক লাভলু খানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এক দেড় বছর আগের ঘটনা তা এখন কি বলব। তিনি নিজে কাজ করেননি। ওই কাজ কাউখালীর এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন স্লাব যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন। এখন সমস্যার কথা বললে হবে কিভাবে।

 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে বার বার ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদেয় ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখেছি। এবং অবাক হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেযারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও কে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। ফিরে তাৎক্ষনিক সভা করেছি। প্রকৌশলী আসতে পারেন নি। তাকে আগামী ৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি এলাকার সংসদ সদস্য মহোদয়কে, এলজিইডির চীফ ইঞ্জিনিয়ার, নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হবে। এতবড় দুর্নীতি করতে দেওয়া যায় না।

 

একুশে সংবাদ/ব.আ.প্র/জাহা

Link copied!