বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন বগুড়ার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তাকে একটি গাড়ি উপহার দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক শিক্ষক। গাড়িটি হিরো আলম অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে উদ্বোধন করেছেন।
নোয়া ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চের পর থেকে গাড়ির কর বকেয়া। বর্তমানে গাড়িটির বিপরীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পাওনা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতিও নেননি হিরো আলম।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়ার এরুলিয়া এলাকায় ফিতা কেটে অ্যাম্বুলেন্স-সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন হিরো আলম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হিরো আলম। অ্যাম্বুলেন্সটি বগুড়া সদর, কাহালু ও নন্দীগ্রামের দরিদ্র রোগী পরিবহনে নিয়োজিত থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
হিরো আলম ঢাকা-১৭ এবং বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের শিক্ষক এম মখলিছুর রহমান। হিরো আলম হবিগঞ্জে গিয়ে গাড়িটি গ্রহণ করেন।
বকেয়া ও অনুমতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হিরো আলম বলেন, ‘আরও দুটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার কথা আছে। সব কটি পেলে বিআরটিএর বকেয়া শোধ করব। আর বকেয়া শোধ করার পর অনুমোদন নেওয়া হবে।’
হিরো আলম বলেছেন, অ্যাম্বুলেন্সচালকের বেতন-ভাতা ও জ্বালানি খরচের জন্য সামর্থ্যবান রোগীদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা হারে ভাড়া নেওয়া হবে। তবে সামর্থ্য নেই এমন দরিদ্র রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া লাগবে না। প্রথম দিকে সপ্তাহে তিন দিন করে ছয় দিন কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় অ্যাম্বুলেন্সটি থাকবে। পরবর্তী সময় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে রাখা হবে। গরীব রোগীরা প্রয়োজনমতো অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করতে পারবেন।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :