নড়াইলে অসময়ে তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন জেলার কালিয়া উপজেলার চাষিরা। উৎপাদন খরচ কম লাগায় ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন তারা। যার ফলে অনেক চাষিরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে কালিয়া উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। ফলন হয়েছে হেক্টর প্রতি ১৫ টন।
তরমুজ চাষি অধ্যাপক শেখ কামাল হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেছি। গত বছর গাছবাড়িয়া বিলের ৭ একর মৎস্য ঘেরের পাড়ে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ২০০টি গাছ রোপণ করে মাত্র ১৫ হাজার খরচ করে ১ লাখ টাকা বিক্রি করি।
তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে ৭ একর মৎস্য ঘেরের পাড়ে ১ বিঘার মতো জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এরপর ৩৫ দিনের মাথায় ফুল ও ফল আসে এবং ৭০ দিনের মাথায় প্রথমবার ফল সংগ্রহ শুরু করি। তরমুজ আবাদে মোট খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ২ লাখের মতো। তবে এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও লক্ষাধিক টাকা লাভ হতে পারে বলে আশা করছি।
তরমুজ চাষি কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার বর্মণ বলেন, জমি প্রস্তুত, চারা লাগানো, মাচা তৈরি করা ও পরিচর্যাসহ তার খরচ হচ্ছে আনুমানিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। ৩৫ দিনের মাথায় ফল আসে ৬০ দিনে সংগ্রহ করা হয়। ২টি করে ৪৮ হাজার তরমুজ ফলন হবে। প্রতিটি চারায় দুটি করে তরমুজ হয়। সে হিসেবে বাগানে ৪৮ হাজার তরমুজের ফলন হওয়ার প্রত্যাশা করছি।
কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবির কুমার বিশ্বাস বলেন, তরমুজ এখন আর মৌসুমি ফল নয়। সারাবছরই তা চাষ করা যায়। বীজ বপনের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মাথায় ফুল আসে, আর ফুল থেকে পরিপুষ্ট তরমুজ হতে সময় লাগে ৭০ থেকে ৮০ দিন। মোট ৮০ থেকে ৯০ দিনের জীবনকাল। বাইরে অংশ কালো ও ভেতরে অংশ টকটকে লাল। ব্লাক বেবি জাতের এ তরমুজ ওজনে প্রায় ৩ থেকে ৪ কেজি হয়ে থাকে।
একুশে সংবাদ/উ.র.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :