গত দুদিনে সিলেটে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে জৈন্তাপুরে প্রবাসীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার ঘটনা। পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীকে আটক করেছেন প্রতিবেশীরা। পরে তাদের পুলিশে সপোর্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২৩ইং) ভোরে উপজেলার ঘাটেরচটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করেছেন বলে জানা যায়।
ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, প্রবাসীর স্ত্রী মনিরা বেগম (২২) ও পরকীয়া প্রেমিক ফেরদৌস রহমান চৌধুরী (২৫)। এ ঘটনায় আহত কাতার প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিনকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন কাতার থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মনিরা বেগম বাবার বাড়ি হরিপুর ৬নং কূপ এলাকায় থাকতেন। এরই মধ্যে ফেরদৌস রহমান চৌধুরীর নামের এক যুবকের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মনিরা। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়ে পড়ে।
মাসখানেক আগে মিনহাজ উদ্দিন কাতার থেকে দেশে আসেন। এ সময় স্ত্রী’র চালচলন দেখে তার সন্দেহ হয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজেদের কক্ষে ঘুমাতে যান স্বামী-স্ত্রী। এরই মধ্যে পূর্বের পরিকল্পনা মতো মনিরার পরকিয়া প্রেমিক ফেরদৌস দরজায় নক করে। তখন স্বামীকে বিছানায় রেখে অন্য একটি রুমের দরজা খুলে দেন মনিরা। পরে সেই কক্ষেই পরকিয়া প্রেমিক ফেরদৌসের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মনিরা। একপর্যায়ে স্বামী ঘুম থেকে জেগে উঠলে বিছানায় স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে তিনি পাশের রুমে যান। সেখানে গিয়ে স্ত্রী পরকিয়া প্রেমিক ফেরদৌসের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তারা দু’জন প্রবাসী মিনহাজের উপর চড়াও হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে মিনহাজকে হত্যার চেষ্টা চালায় মনিরা ও ফেরদৌস। এ সময় মিনহাজের চিৎকারে পাশের ঘরের লোকজন এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। পরে মনিরা ও তার পরকিয়া প্রেমিক ফেরদৌসকে আটক করে ঘটনাটি পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে আটক করে থানা নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিনের বাবা নূর মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে প্রবাসীর স্ত্রী মনিরা বেগম ও তার পরকিয়া প্রেমিক ফেরদৌস রহমান চৌধুরীকে আসামী করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :