পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ৭৯ পূর্ব লামনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার লিজা। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এক বছর যাবৎ বিদেশ আছেন এই শিক্ষিকা। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শারমিন আক্তার লিজার বড় বোন স্বপ্না বলেন, আমার বোন দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল। সে এখনো অসুস্থ রয়েছে বিদেশে।
এদিকে লিজার সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায় ভিন্ন কিছু, তিনি বিদেশে নানান স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর শিক্ষক সংকটে পাঠদানে বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে অন্য শিক্ষকদের। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিশু শিক্ষা।
জানা যায়, ৩০ দিনের ছুটি নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যান সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার লিজা। সেই ছুটি শেষ হয়ে এক বছর পার হলেও তিনি এখনও বিদ্যালয়ে আসেননি। কিন্তু তার চাকরি এখনও বহাল রয়েছে।
স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের দাবি, এক মাসের মেডিকেল ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসায় যান লিজা। সেখানে এক বছর ধরে বসবাসও করছেন। তবে, তার পরিবারের দাবি, লিজা অসুস্থ।
এবিষয়ে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বার বার জানানো হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অদৃশ্য কারণে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) শারমিন আক্তার লিজার বড় বোন স্বপ্না বলেন, সে এখনো অসুস্থ রয়েছে বিদেশে। আজ আমরা চাকরির রিজাইন লেটার স্কুলে পৌঁছে দিয়েছি। সে বাংলাদেশে কবে আসে, সেটা ঠিক বলা যাচ্ছে না।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হেলেনা বেগম বলেন, এমনিতেই আমার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কম। তার মধ্যে লিজা এক মাসের ছুটি নিয়ে গেছেন। কিন্তু এখন এক বছর হয়ে গেল, তার কোনো খোঁজ খবর নাই।
তিনি আরও জানান, গতকাল হঠাৎ করেই লিজা তার বোনের মাধ্যমে একটি অব্যাহতির আবেদন পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি সেটি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের মাধ্যমে শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মীর রেজাউল ইসলাম জানান, ইস্তফা পত্রটি পেয়েছি। এখন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দেব। তবে আমি আগেও বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারকে একাধিক বার জানিয়েছি। ওই শিক্ষিকা বিদেশে যাওয়ার পর থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। আজ হঠাৎ করেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় বোন আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বক্তিয়ার রহমান বলেন, লিজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এরপর নীতিমালা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :