ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আদমপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি হাসি বেগমের (২৪) নয়। তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের পাঁচদিন পর ফিরে এসেছেন। তবে মরদেহটি হাসি বেগম নামে জেলার সদরপুরে দাফন করা হয়।
হাসি বেগম পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে ঘর ছাড়েন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আদালতে জবানবিন্দ দিয়ে ফের পরকীয়া প্রেমিকের কাছে চলে গেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের আমলি আদালতের (সদরপুর) বিচারক গৌর সুন্দর বিশ্বাস হাসির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। আদালতে জবানবন্দি দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ফের চলে যান। পরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ থেকে মোতালেব শেখকে মুক্তি দেন আদালত।
এ ব্যাপারে হাসির বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে সাবালক। তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও বুদ্ধি রয়েছে। যে সাত বছরের একটি ছেলে রেখে আরেক পুরুষের হাত ধরে চলে যেতে পারে তার ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। বুধবার কোর্টে জবানবন্দি দিয়ে সে চলে গেছে।
তিনি বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি তার ওই পরকীয়া প্রেমিকের নাম মোস্তাকিম (৩০)। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইলের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগম নিখোঁজ হননি। তিনি নিজের ইচ্ছায় পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে ঘর ছাড়েন। পরে খবর পেয়ে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়। বুধবার দুপুরে হাসি আদালতকে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সবকিছু পরিষ্কার করায় সব আইনি বাধা কেটে গেছে।
তিনি বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গা উপজেলার আদমপুর এলাকায় উদ্ধার হওয়া একটি মরদেহ হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করে দাফন করেন তার মা-বাবা। পরদিন স্ত্রীকে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় মোতালেব শেখকে। হাসি জীবিত ফিরে এসেছেন বলে আদালতকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর তিনি মুক্তি পান।
একুশে সংবাদ/স.চ.প/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :