চাকুরির পেছনে না ঘুরে কৃষিকাজ করেও যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায় তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মাধবপুর উপজেলার বড়ধুলিয়া গ্রামের শিমুল। ২/৩ বছর ধরে তিনি ১২ মাস আগাম জাতের টমেটো চাষ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। টমেটো চাষে নিজেই শুধু সাবলম্বী হননি তার জমিতে কয়েকজন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করেছেন।
শিমুল আহসান জানান, সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর অনেক চাকুরী খুজে সময় নষ্ট করেছি, চাকুরী না পেয়ে বাড়ির পাশের ২ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আগাম জাতের টমেটোর চাষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেবার সফলতা পাওয়ায় শিমুলের মনে আশা জাগে। সেই থেকে শুরু। আর এখন তার প্রধান পেশা টমেটো চাষ।
এ বছর তিনি জগদীশপুর চা বাগানের ভিতরে প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে আগাম জাতের টমোটো চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার টমেটে বিক্রি করেছেন শিমুল।
তিনি জানান, এই মৌসুম শেষে শ্রমিক খরচসহ বিভিন্ন খরচ বাদে বুঝতে পারব কত টাকা লাভ হয়েছে, প্রতিদিন নারী পুরুষ সহ প্রায় ৫০ জন শ্রমিক ওনার জমিতে কাজ করে থাকেন।
শিমুল আহসান জানান, বাজার মূল্য ঠিক থাকলে আরও অনেক টাকা বিক্রি করতে পারবো। সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পেলে উৎপাদন আরও বাড়াতে পারবো।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। আসছে শীত মৌসুমে সেটি আরো অনেক বাড়তে পারে। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল আল মামুন জানান,অধ্যবসায় ও পরিশ্রম দিয়ে যে কেউ নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে। চাষিরা যাতে আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হতে পারেন সেজন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা চালানো হয়।
এখন অনেকেই আগাম জাতের টমেটো চাষ করে সফল হয়েছে আমরা তাদের সুবিধার জন্য কিভাবে ফলন ভালো হবে তার উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি এবং ভবিষ্যতে দেওয়ার চেষ্টা করে যাব। উপজেলা কৃষি অফিস তাদের পাশে সব সময় রয়েছে এবং থাকবে।
একুশে সংবাদ/ল.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :