নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ সিমা খাতুন (২৮) হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে (র্যাব-৫)।
সোমবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপাড়া এলাকার মৃত শওকতের ছেলে মো. ইউসুফ প্রাং (৬০), একই এলাকার ইউসুফ প্রামানিকের ছেলে মো. শিপন প্রামানিক (২০)।
নাটোর র্যাব-৫ জানান, ১২ বছর আগে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মো. ইউসুফ প্রামানিকের ছেলে মো. রতন আলী (২৮) সঙ্গে পারিবারিকভাবে সিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন সিমা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করত।
এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়েছে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন সিমা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেই থাকে। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে গৃহবধূ সিমা খাতুনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে চিকিৎসা শেষে সিমা খাতুনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়িতে নিয়ে যায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরে আবারও গৃহবধূ সিমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শরীরে বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়। দ্রæত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৫ আরও জানান, পরে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির ভিত্তিতে কোম্পানি অধিনায়ক সন্জয় কুমার সরকার এবং কোম্পানি উপ-অধিনায়ক মো. নুরল হুদার নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় গৃহবধূ হত্যা মামলার দুই আসামিকে গুরুদাসপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
একুশে সংবাদ/জ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :