গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানরত সেই স্কুল ছাত্রীকে দু’দিন পর উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ওই স্কুল ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার তাকে উদ্ধার করে তার শারীরিক পরীক্ষা এবং জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার ওই স্কুলছাত্রী তার প্রেমিক উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের মরুয়াদহ মাঝিপাড়া গ্রামের পলাশ চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অবস্থান শুরু করে। পলাশ চন্দ্র ওই গ্রামের বিমল চন্দ্র বর্মণের ছেলে। সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়াশুনা করছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেম বিনিময় চলে আসছিল। এরই মধ্যে তাদের মাঝে মন দেয়া-নেয়া হয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে পলাশ গা-ঢাকা দিয়ে পালিয়ে রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গ্রাম পুলিশ পাহাড়া রেখেছেন ছাপড়হাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী। তিনি বলেন বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু অযুক্তিক দাবির কারণে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা সম্ভাব হয়নি।
থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মিলন চ্যাটার্জি বলেন, মঙ্গলবার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিত্বে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষা এবং জবানবন্দি রেকর্ড করার আদালতের মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/হ.ব.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :