আদালতে বিভিন্ন মামলার হাজিরা দিতে এসে একটি করে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যেত একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। এ ঘটনায় চোরাইকৃত ১৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার ও সংঘবদ্ধ চোর চক্রের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- প্রধান আসামি মো. রিপন (৩২) বাবা: আব্দুল আলীম। নগরীর বাকলিয়া এলাকার বাস্তুহারা চুনার গলি এলাকায় বসবাস। দ্বিতীয় আসামি আব্দুল কাদের জিলানী (২৬), বাবা: মৃত মনু মিয়া। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লাহর চান্দিশ কড়া এলাকায়। তৃতীয় আসামি সজিবুল ইসলাম (২১), বাবা: মো. মোস্তাক। গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকায়।
চক্রের মূল আসামি রিপন দশ সেকেন্ডে একটি মোটর সাইকেল স্টার্ট দিতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চট্টগ্রামের আদালত ভবন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে বের হতে দেখা যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের প্রধান রিপনকে। মূলত বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এলে একটি করে মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যান তিনি। একটি ভিডিওতে কালো গেঞ্জি অন্য আরেকটি ভিডিওতে নীল গেঞ্জি পরা অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, চট্টগ্রাম শহরসহ তার আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মোটর সাইকেল চুরি হচ্ছিল। সেই সঙ্গে আদালত ভবন এলাকা থেকে মোটর সাইকেল চুরির সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। গত তিন মাসে শুধুমাত্র কোর্ট বিল্ডিং এলাকা থেকেই পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা রিপন। এর আগেও মোটরসাইকেল চুরির একাধিক মামলার আসামি ছিলেন তিনি। মূলত আদালতে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে এলে একটি করে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যেতেন তিনি। দশ সেকেন্ডেই রিপন একটি মোটর সাইকেল চালু করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টেবর) সকালে নগরীর চেরাগী পাহাড় এলাকায় অবস্থিত উপপুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক বিষয় তুলে ধরে পুলিশ।
এদিকে, মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের প্রধান রিপন জানান, মামলার হাজিরা দিতে আদালতে এলে একটি করে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যান তিনি। যে মোটরসাইকেল সহজে স্টার্ট দেয়া যায়, সেটিই চুরি করেন তিনি।
সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় প্রথমে রিপনকে নগরীর মেরিনার্স সড়ক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও দুই জনকে আইনের আওতায় আনা হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরাইকৃত ১৩টি মোটরসাইকেল, সংঘবদ্ধ চোর চক্রের মূল হোতা রিপনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। চোরাই মোটরসাইকেল কুমিল্লা ও মহেশখালী এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :