AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে ভাঙন, তিস্তার পানি স্থিতিশীল


সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে ভাঙন, তিস্তার পানি স্থিতিশীল

অবিরাম বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা ঢল অব্যাহত থাকলেও তিস্তার পানি বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার সকাল হতে তিস্তার পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সে কারণে গাইবন্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, দহবন্দ, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হলেও বসতবাড়িতে পানি উঠেনি। তবে উপজেলার বিভিন্ন চরে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

 

ইতিমধ্যে শতাধিক একর জমির ফসল নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে হাজার একর ফসলি জমি এবং তিন শতাধিক বসতবাড়ি। সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বেসরকারি পানি মাপক যন্ত্রের তথ্য মোতাবেক তিস্তার পানি এখনও বিপসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

উপজেলা কন্ট্রোলরুমের সূত্রে জানা গেছে, তিস্তায় পানি স্থিতিশীল থাকায় ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। চরের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চরের পরিবারসমূহ বসতবাড়িতে অবস্থান করছে। তবে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

 

বেলকা চরের রেজাউল ইসলাম জানান, তিস্তায় ব্যাপকহারে ভাঙন দেখা দিয়েছে, ভেসে আসছে গাছপালাসহ বিভিন্ন জীবজন্তুর মরদেহ। এখনও চরের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে নেই। তবে নিচু এলাকা ডুবে গেছে।

 

হরিপুর ডাঙ্গার চরের মন্টু মিয়া বলেন, তার বসতবাড়ি আঙিনা থেকে পানি সরে গেছে। বুধবার রাত হতে অবিরাম বৃষ্টি পড়ছে, পরিজন নিয়ে বসতবাড়িতে অবস্থান করছি। এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান ও নেম্বরগণ কোন প্রকার খোঁজ খবর নেয়নি।

 

কাপাসিয়ার চেয়ারম্যান জানান, চরের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে য়েতে চায়না। পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে উজানে এবং ভাটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, শুক্রবার সকাল হতে পানি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকার কারণে উপজেলার চরাঞ্চলে বসবাসরত পরিবার সমূহ পানিবন্দির শিকার হয়নি। তবে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, রাতারাতি নিচু এলাকার কিছু পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়তে পারে। সরকারিভাবে শুকনা খাবার ও জিআর বরাদ্দে চাহিদা পাঠানে হয়েছে। অনুমোদন পেলে চাহিদা মোতাবেক ইউনিয়ন ভিত্তিক বিতরণ করা হবে।

 

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের অবস্থা অনেক ভাল রয়েছে। কন্টোল রুমের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের খোঁজ খবর মনিটরিং করা হচ্ছে। বরাদ্দের অনুমোদন পেলে বিতরণ করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/ম.ব.প্র/জাহা

Link copied!