মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের ৬ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বহু হতাহতের শঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়ার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ আহমেদ।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- গজারিয়ার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের একই পরিবারের সুমনা আক্তার (২৮), জান্নাতুল মাওয়া (৬), সাফা (৪), মারওয়া (৮) এবং রংপরের বাসিন্দা একই পরিবারের সাব্বির হোসেন (৪০) ও রিমাত (২)।
তিনি জানান, আমরা খবর পেয়েছি এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রোজিনা ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন।
ট্রলার চালক জানান, শুক্রবার সকালে ১১ জন যাত্রী নিয়ে গজারিয়া থেকে নৌভ্রমণে বের হন। দিনভর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ী ফিরছিলেন। তাদের ট্রলারটি গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে পৌঁছালে নারায়নঞ্জমুখী বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে।
এদিকে ট্রলারডুবির খবর পেয়ে গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রাম থেকে নিলুফা বেগম নামে এক নারী মেঘনা নদীর তীরে ছুটে এসে স্বজনদের খোঁজে আহাজারি করছেন। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত ওই নারী তার স্বজনদের কোনো সন্ধান পাননি বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাবিবুল্লাহ ও এস আই ইলিয়াস খান জানান, নৌ-পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :