হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এ উৎসবকে সামনে রেখে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্দিরে চলছে প্রতিমায় রং তুলির আঁচড়। আর তাই সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ২৪ সেপ্টেম্বর দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
সরেজমিনে উপজেলার পৌর শহরের শ্রী শ্রী রক্ষা চন্ডী মন্দির, ময়না বারোয়ারী মন্দির,কামারগ্রাম আখড়া,সাতৈর মন্দির,ঠাকুর পুর, বান্দুগ্রাম মন্দিরসহ কয়েকটি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রতিমা তৈরি, রং-তুলি ও সাজসজ্জার প্রস্তুতি। শিল্পী ও কারিগরদের নিপুণ হাতের তৈরি প্রতিমায় চলছে রঙসহ অলঙ্কার পরানোর কাজ। এ ছাড়া কাঠ, বাঁশ, ককশিট, কাপড় ও রঙ ব্যবহার করে কারুকার্য খচিত মণ্ডপ সাজিয়ে তোলার কাজ করা হচ্ছে। মৃতশল্পীরা রাত-দিন কাজ করে প্রতিমা তৈরি করছেন। এবার প্রতিমা কারিগরদের শৈল্পিক কাজে আধুনিকতা ও নতুনত্বের ছোঁয়া লাগায় দর্শকদের মন কাড়বে।
প্রতিমা তৈরির কারিগররা জানান, দুর্গাপূজা এলে তাদের কাজ বেড়ে যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তাদের কাজ বেড়েছে, রাত-দিন পরিশ্রম করে প্রতিমা তৈরি করে দর্শনার্থীদের সামনে সঠিক সময়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে তাদের সার্থকতা। তবে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ার আগের মতো তাদের লাভ হয় না বলে জানান তারা।
বোয়ালমারীউপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী শ্যামল কুমার সাহা বলেন, উপজেলায় এবার ১২৫টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে এসব পূজামণ্ডপে পুরোদমে চলছে প্রতিমা তৈরি ও দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জার কাজ চলছে । তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে শারদীয় দূর্গাউৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল ওহাব বলেন, পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আনসার, কমিউনিটি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ, র্যাবসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :