১ নভেম্বর থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে এবার দক্ষিণবঙ্গের মানুষ চড়বে স্বপ্নের রেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা রেল জংশন ষ্টেশন অফিসার মোঃ শাজাহান মিয়া
খুলনা থেকে ঢাকায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১লা নভেম্বর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জনসাধারণকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে জনসাধারণের ভাগ্যের চাকা আরো একধাপ এগিয়ে গেল।
এই খবরে ভাঙ্গায় জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ভাঙ্গায় ফেসবুকে ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তারা ১ তারিখের অপেক্ষায় রয়েছেন সকল পেশার মানুষ। তারা রেলের টিকিটের জন্য বারবার স্টেশনে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা রেল জংশনের অফিসার মোঃ শাজাহান মিয়া জানান, ১লা নভেম্বর থেকে খুলনা-ঢাকা সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন জনসাধারণের জন্য ছাড়া হবে এবং ২রা নভেম্বর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস যোগ হবে। এতে দুটি ট্রেন চলবে বলে দিকনির্দেশনা পেয়েছি। তবে ভাড়া ও কখন ছাড়বে সেই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারি নাই। আমাদের অনলাইনে টিকিটের জন্য অনলাইন মেশিন এখনো রেডি হয় নাই যার জন্য ভাড়া এবং টিকিটের বিষয়টি জানাতে পারছে না। দুই-একদিনের মধ্যেই জানা যাবে। মধুমতি এক্সপ্রেস খেলার বিষয়টি এখনো নির্ধারণ হয়নি।
উল্লেখ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১০ অক্টোবর ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের উদ্বোধনের পর পহেলা নভেম্বর জনসাধারণের জন্য ঘোষণা আসলো।
এদিকে ভাঙ্গা জংশন এলাকার এক বাসিন্দা আনোয়ারুল হক দিপু বলেন, বহুদিনের স্বপ্ন আমাদের বাস্তবায়ন হয়েছে, আমরা ঢাকা-কক্সবাজার, যশোর, বেনাপোল, ভারত সহ দেশের সকল জেলায় সহজে যাতায়াত করতে পারবো এটা আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য আশীর্বাদ এবং শেখ হাসিনার উন্নয়নের মাইলফলক। তবে ভাড়ার বিষয়টি ঢাকা গামী রেগুলার চাকরিজীবীদের ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ভাড়া করা হোক। তিনি যুক্তি দেন বনগাঁ থেকে কলিকাতা ৮০ কিলোমিটার রাস্তা ভাড়া ২০ রুপি আমাদের ভাঙ্গা থেকে ঢাকা একই রাস্তা সেখানে ৬০ টাকা হলে ভালো হয়। বিষয়টি বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্ট কামনা করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :