AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সবুজ ধানের কাঁচা শীষে কৃষকের স্বপ্ন


সবুজ ধানের কাঁচা শীষে কৃষকের স্বপ্ন

রোপা আমন ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। ধানের কাঁচা শীষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠে কৃষকের মন। যেন হারিয়ে যায় সবুজ মাঠে। দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করে তুলেছে।

আর মাত্র ক’দিন পরেই সবুজ ধানগাছ ও শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। ফলে মাঠে দোল খাওয়া নতুন ধানের নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে রোপা আমন ধানক্ষেতে ঢেউয়ের মতোই খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও শীষ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধু ঘন সবুজের সমারোহ। আর এই সবুজ ধান গাছের ঢেউয়ে দুলছে  কৃষকের স্বপ্ন। 

হেমন্তের বাতাসে রোপা আমন ধানের সবুজ ঢেউ উপজেলার সকল কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হবে। আর এমন সবুজ সমুদ্রের ঢেউয়ে দুলে উঠছে প্রকৃতি।

পল্লীকবি জসিম উদ্দিন তার রচিত ‘ধানক্ষেত’ কবিতায় ধানক্ষেতের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন -

 

“পথের কেনারে পাতা দোলাইয়া করে সদা সঙ্কেত,

সবুজে হলুদে সোহাগ ঢুলায়ে আমার ধানের ক্ষেত।

ছড়ায় ছড়ায় জড়াজড়ি করি বাতাসে ঢলিয়া পড়ে,

ঝাঁকে আর ঝাঁকে টিয়ে পাখিগুলে শুয়েছে মাঠের পরে।”

 

নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার১৩টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ২২৪১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার অতি বৃষ্টিতে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এবার ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪৭৮২ মেঃ টন। কৃষকরা রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন।

এবছর সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় দেরীতে রোপা আমন চাষ হলেও ফসলের মাঠ অনেক সুন্দর হয়েছে।ধানের সবল-সতেজ চারা এবং শীষ বের হয়েছে। তাই এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। 

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানের ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি ক্ষেতে শীষ উকি দিচ্ছে। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত রোপা আমন ধান অনেক ভালো হয়েছে। উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক মুজিবুর, মিলন, রোকন উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, আবুল কাশেমসহ অনেকেই বলেন, চলতি বছর ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি আমরা। আর কয়দিন পরেই ফলন ঘরে তুলতে পারব।’

খারুয়া ইউনিয়নের কয়ারপুর গ্রামের রফিক, শামছুল,বোরহানসহ অনেকেই বলেন,অতি বৃষ্টির কারনে আমরার ধানের ক্ষেত নষ্ট হইয়া গেছে।খুব ভালো ফলন হইছিলো।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান,এবার অতি বর্ষণে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এতে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১১৬ কোটি ৯৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

তারপরও রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। 

 

 

 

একুশেসংবাদ/বিএইচ

Link copied!