ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি বলেছেন, বিএনপি- জামায়ত জোট সরকারের সময় কৃষককে গুলি খেতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সার বীজের কোন সংকট হয়নি। সারের পেছনে এখন ঘুরতে হয়না। সার এখন কৃষকের পিছনে ঘুরছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) জামালপুরের ইসলামপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইসলামপুরের আয়োজনে উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারন অধিদপ্তর আয়োজনে ২০২৩-২৪ অর্থ মৌসুমে কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে সরিষা,গম,ভূট্রা,চিনাবাদাম,পেয়াজ,মুগ ও মসুর ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১২ হাজার ৩শত ৭০ জন কৃষকের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করেই আজ আমরা কৃষিতে সমৃদ্ধি অর্জন করেছি। সার, বীজ আর সেচ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে নিয়মিত প্রণোদনা পাচ্ছেন দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা। কৃষিতে শ্রম সংকটের নিরসনে পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টর,পাওয়ার থ্রেসারসহ প্রয়োজনীয় কৃষি যন্ত্র প্রদান করা হচ্ছে।
এখন আর কৃষকদের সার ও ডিজেলের দাবীতে আন্দোলনে নামতে হয় না। জীবন দিতে হয় না- অথচ ১৯৯১-১৯৯৬ সময়ে খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে সারের জন্যে ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আঃ সালাম,জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মজিবর রহমান শাহজাহান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান শাহিন,যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল হক সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিবলী,যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোহন মিয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেজুয়ানের সঞ্চালনায় প্রত্যেক কৃষকের মাঝে বিঘা প্রতি ১কেজি শরিষা,২কেজি ভুট্রা,২০ কেজি গম, ১০ ডিএপি সার, ১০ কেজি এমএপি সার বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে পেয়াজ,মসুর,মুগ,চিনাবাদাম বিতরণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ল.ল.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :