AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে অবাধে মা ইলিশ শিকার


Ekushey Sangbad
মোঃ ফোরকান, বাউফল, পটুয়াখালী
০৪:৪১ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২৩
বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে অবাধে মা ইলিশ শিকার

পটুয়াখালী বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবাধে মা ইলিশ শিকার। তেঁতুলিয়া নদীর ৪১ কিলোমিটারে মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষনা করা হলেও এর ৭-৮টি পয়েন্টে চলছে এ মা ইলিশ শিকার। শিকারকৃত মা ইলিশ অভিনব কায়দায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

 

 সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফলর নদী বেস্টিত  চন্দ্রদ্বীপ, কেশবপুর, নাজিরপুর, কালাইয়া ও ধুলিয়া এই ৫ ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার জেলে রয়েছেন। তারা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে সরকারি চাল দেয়া হলেও তারা নদীতে মাছ শিকার করছেন। 

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক জেলে জানান, তারা মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে জাল ও নৌকা ক্রয় করেছেন।  প্রত্যেক সপ্তাহে তাদেরকে কিস্তির টাকা দিতে হয়। তাই  নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা নদীতে মাছ শিকারে যান।  

 

তেঁতুলিয়া নদীর বগি, মঠবাড়িয়া, ধুলিয়া, নিমদীসহ ৭-৮টি পয়েন্টে দিনে ও রাতে মা ইলিশ শিকার করেন অসাধু জেলেরা। তাদের প্রতিহত করতে নদীতে টহলের ব্যবস্থা করা হলেও তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। দিনে দু একবার অভিযান পরিচালনা করেন। 

 

উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অসাধু জেলেরা মাছ শিকারে সাধারণ ট্রলার ও নৌকার পাশাপাশি পাখি ট্রলার ব্যবহার করেন। ওই পাখি ট্রলারের স্পিট এত বেশী যে অন্য যেকোন ট্রলার বা স্পিড বোর্ড দিয়ে ধাওয়া করেও তাদেরকে ধরা যাচ্ছে না।

 

 নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মা ইলশ শিকারের পর তা অভিনব কায়দায় বিক্রি করা হয়। শিকারকৃত ইলিশ বস্তায় ভড়ে গ্রামে গঞ্জে বাড়িতে বাড়িতে ফেড়ি করে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় মা ইলিশ ।  কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই মা ইলিশ বিক্রি করা হয়। মোবাইল ফোনে কল দিয়ে চাহিদা জানানোর পর তারা  স্কুল ব্যাগ ও বস্তায় ভড়ে তা মটর সাইকেলযোগে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেন। আবার নির্জন এলাকায় গর্ত করে পলিথিন ও লবন দিয়ে শিকারকৃত ইলিশ মজুদ করে রাখা হয়। অবরোধের পর সেই মাছ অন্যত্র পাঠানো হবে। 

 

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মৎস্য বিভাগের কতিপয় ব্যক্তির সাথে যোগসাজ করে মাছ ধরা হয় । এ ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চৌকিদার ও দফাদাররা জেলেদের সাথে রফাদফা করে জেলেদের মাছ শিকারের সুযোগ করে দেন।  

 

 উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, টুয়েন্টি পার্সেন্ট জেলেরা মাছ শিকার করতে পারে। আমরা তাদের নিবৃত করতে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছি। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার মিটার জাল আটকের পর পুড়িয়ে দিয়েছি। ৫ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত জেল দিয়েছেন।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন, আমরা অভিযান আরাও জোড়ালো করতে শনিবার জেলা থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনেছি। আশা করছি  অভিযান আগের চেয়ে কঠোর হবে।

 

 উল্লেখ্য সরকার গত ১২ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

 

একুশে সংবাদ/স ক 
 


 

Link copied!