হাটহাজারীতে দুই সন্তানের জননী রিনা আক্তার (২৮) কে গলা টিপে হত্যার ঘটনায় সংম্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে নিহতের ভাই লিয়াকত বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকীয়া গ্রামের খন্দকার পাড়ার নিজ বসতঘরে দিদারুল আলম সোহাগ তার তৃতীয় স্ত্রী ২ সন্তানের জননী রিনা আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে ওই এলাকার মৃত জহুর আলম সওদাগরের পুত্র দিদারুল আলম সোহাগ পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজ বসতঘরে তার তৃতীয় স্ত্রী ২ সন্তানের মা রিনা আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করে। ঘটনার পর পর ঘাতক সোহাগ বাইরে বের হয়ে আশেপাশের কয়েকটি বাড়ীতেও পাথর নিক্ষেপ করে গ্লাস ভাংচুর করে। এদিকে তাদের বড় মেয়ে সাথী আক্তার টিসার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন ঘরে রিনা আক্তারের লাশ মাটিতে পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা ঘাতক স্বামী সিএনজি চালক দিদারুল আলম সোহাগ (৩৮) কে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এবং বেলা ১২ টার দিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফায়েল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, ভোরে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। পরে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি সাহেবকে ফোনে ঘটনা জানালে তিনি মডেল থানার এসআই শরীফকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। আসলে ঘাতক স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন।সে আগেও ২ টা বিয়ে করেছিলো। তার মানসিক সমস্যার কারনে পূর্বের স্ত্রীরা তাকে ছেড়ে চলে গেলে রাউজান উপজেলার উর্কিরচর ইউনিয়নের রুস্তম আলীর কন্যা রিনা আক্তারকে বিয়ে করে সোহাগ। এ সংসারে তাদের ২ টি কন্যা সন্তানও আছে।
হাটহাজারী মডের থানার এসআই শরীফ এ প্রতিবেদকে জানান, আটকের বিরুদ্ধে নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটকৃতকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
হাটহাজারী মডের থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এদিকে একইদিন রাত ৮ টার দিকে হত্যার স্বীকার রিনা আক্তারের বাবার বাড়ী রাউজান উপজেলার ঊর্কিরচরস্থ নিজ গ্রামে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থান লাশ দাফন করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :