বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে লালমনিরহাট থেকে বন্ধ রয়েছে দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তব চালু রয়েছে লালমনিরহাট- বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। লালমনিরহাট শহরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলে জেলার কয়েকটি স্থান বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এতে উভয় দলের অন্তত ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে পুলিশ, সাংবাদিকের গাড়িসহ ৪ টি মোটরসাইকেল।
এছাড়া জেলা শহরে রিকশা, ভান ও অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। হটতালের কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংকিত থাকলেও শহরের মিশনমোড়সহ বড়বড় মার্কেটগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে দশটার দিকে সাপ্টিবাড়ি বাজারে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম হরতাল বিরোধী মিছিল নিয়ে বের হলে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে সকাল এগারোটার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে মিছিল নিয়ে যায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয় পক্ষের দুইজন আহত হয়। এসময় বিএনপির অফিসের চেয়ার ও সাইনবোর্ড ভাংচুর করে আওয়ামীলীগ সমর্থকরা। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
একই সময় সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে বিএনপি-আওয়ামীলী সংঘর্ষ হয়।এসময় মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, আওয়ামীলীগ কর্মী বিপ্লব ও বাবলু মিয়াকে কুপিয়ে আহত করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে রাজু আহমেদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল থেকে রংপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মিশনমোড় এলাকায় পুলিশের দুইটি মটরসাইকেল সহ ৪টি মটরসাইকেল ভাংচুর করেছে বিএনপি সমর্থকরা।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান ,লালমনিরহাট শহরের
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :