বঙ্গবন্ধু টানেলে মধ্যরাতে কার রেসিং প্রতিযোগিতার দায়ে ৭ কার চালককে চিহ্নিত করেছে টানেল কর্তৃপক্ষ। এসব কারের নম্বর উল্লেখ করে সেগুলোর অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ভেতর কার রেসিং প্রতিযোগীতায় মেতে উঠেছিল উঠতি বয়সী ছেলেরা।
দামি স্পোর্টস কার নিয়ে বিপজ্জনক গতিতে প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে তারা। মোটর রেসের এমন বেশ কয়েকটি ভিডিও ৩০ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই রেসে প্রায় ১০টি প্রাইভেটকার অংশ নেয়।
বুধবার (১ নভেম্বর) রাতে নগরীর কর্ণফুলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০)। সড়ক পরিবহন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে কারের নম্বর উল্লেখ করে সাতটি কারের অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। সাত প্রাইভেট কারের মধ্যে আছে- চট্ট মেট্রো-গ-১২-৯০৪৩, চট্ট মেট্রো-ঘ-১১-৫৭০২, ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৮৯৩৫, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-১৮১৪, চট্ট মেট্রো-গ-১৩-৩৫৭৩, চট্ট মেট্রো-গ-১৪-২২৫৪ ও ঢাকা মেট্রো-ভ-১১-০২১৭। মামলায় আরও দুই থেকে তিনটি প্রাইভেট কারের চালকসহ তাদের সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, টানেল কর্তৃপক্ষ ও রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান পরামর্শক্রমে মোটরযানের গতিসীমা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেন। এ বিষয়ে টানেলের প্রবেশ মুখ, ভেতরসহ বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে গতিসীমা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ২৯ অক্টোবর রাত অনুমান ১১টায় ক্রসিং এলাকায় ৭ থেকে ১০টি প্রাইভেটকার নিয়ে অজ্ঞাতনামা চালক এবং তাদের সহযোগী পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন স্থানে টানেল কর্তৃপক্ষের সাঁটানো সাইনবোর্ডের সর্বোচ্চ গতিসীমা লংঘন করে।
গাড়িগুলো রেসিং, ওভারটেকিং ও বিপজ্জনকভাবে চালানোসহ যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরে গাড়িগুলোর অজ্ঞাতনামা চালক টোল পরিশোধ করে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে টানেলের ভেতর প্রবেশ করে। রেসিং, ওভারটেকিং ও বিপজ্জনকভাবে চালানোসহ যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরে টানেলের সিসিটিভি মনিটরিং কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে সাতটি গাড়ির নম্বর শনাক্ত করে। আরও দুই-তিনটি প্রাইভেট কারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও ঘটনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :