রাজধানীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সহিংসতার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএনপি কর্মীদের হামলায় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। আহত পাঁচ সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়। হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবলিম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।
এসময় ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু, ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ লিটুসহ জেলার বিভিন্ন সংগঠনসহ কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।
সেখানে বক্তারা বলেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে রাজনৈতিক সমাবেশ চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা, নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে তা সাংবাদিকতা পেশার জন্য বড় ধরনের হুমকি ও উদ্বেগজনক। সাংবাদিকরা জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সমাজের অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরে।
বক্তারা আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের খবর প্রকাশ করার সময় তারা সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দেন এবং হামলা চালায়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান বক্তারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানোর পাশাপাশি এটি করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
সংবাদকর্মী রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিবাদ সমাবেশে আসা সাংবাদিকরা।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :