নওগাঁর নিয়ামতপুরে আমন ধানের ফসলের মাঠ যেন প্রকৃতির সোনালী রঙে সেজেছে। মৃদু মন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি চলছে নতুন ধান ঘরে তোলার নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতি। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর আমন মৌসুমে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ৩০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৩০ হাজার ২৪০ হেক্টর। এর মধ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ৩০ হেক্টর আমন ধান পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৪.৫ মে. টন।
কৃষি অফিসের ব্যাপক তৎপরতা, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়া, সার, কীটনাশকসহ বাজারে কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও সেচের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনা এবং আবাদ উপযোগী পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলার কৃষকরা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোনো বিপর্যয় না ঘটলে আগামী সপ্তাহে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষকেরা হতাশার সুরে বলেন, খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম নেই। ইরি বোরো মৌসুমের ধানের দাম পাওয়া যায় নি। বাজারে সার, বীজ, কীটনাশক সহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য আমন ধানের ভালে দাম না পেলে কৃষকের মরন দশা হবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, উপজেলায় ৩০ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো ,রোগ-বালাই পোকামাকড় নেই ও সময় মতো বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে আমন ধান ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না দেখা দিলে আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :