জলাবদ্ধতার কবল থেকে ফসল রক্ষা ও শুকনো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য খনন করা হচ্ছে কুড়িগ্রামের বামনী খাল। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি গ্রুপে খালটির খননকাজ এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই এর সুফল পেতে শুরু করেছেন কৃষক। ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই খালের দুই পাড়ের কয়েক হাজার হেক্টর জমি আগে এক ফসলি ছিল। এখন তা দুই ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে। শুকনো মৌসুমে খালে ধারণ করা পানি দিয়ে চাষাবাদও করতে পারবেন তারা।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বালাকান্দি থেকে শুরু হয়ে উলিপুর উপজেলার পুরনো অনন্তপুরে ব্রহ্মপুত্র মিলিত হয়েছে বামনী খাল। এর মধ্যে সিধারী, গিধারী, দেউলিয়া দুধখাউয়া নামে শাখা খাল রয়েছে সাত কিলোমিটার। চলতি বছর শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে।
রাজারহাট উপজেলার বালাকান্দি মুক্তার পাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, খালটি ভরাট হওয়ায় অনেকে দখল করে চাষাবাদ করে আসছিল। খালটি উদ্ধার করে খনন করা হয়েছে। এতে দুই পাড়ের হাজার হাজার কৃষকের উপকার হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ফসলের ক্ষতি হবে না, আবার শুষ্ক মৌসুমে খালে জমে থাকা পানিতে কৃষক চাষাবাদ করতে পারবেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :