জিও ব্যাগের পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করে নদী ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুভ হালদার বলেন, বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ টাকা ব্যয়ের ১৩০ মিটার নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ৪ হাজার চটের বস্তা ও ২ হাজার ৫০০ জিওব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কাজটি কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করছে তা স্পষ্ট করে বলতে পারেন নি তিনি।
যদি ব্যাগের পরিবর্তে অন্য কোন ব্যাগ ব্যবহার করা হয় তা টিকসই হবে না বলে জানান এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাট অফিস সূত্রে গেছে, বালিভর্তি চটের বস্তা ও জিও ব্যাগই ব্যবহারের কথা শিডিউলে রয়েছে। সাধারনত জিও ব্যাগগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা, এগুলোতে বালু ভরে বিশেষভাবে মেশিনের সাহায্যে সেলাই করে মুখ আটকে দেওয়া হয়, যা পানির স্রোতে এবং ঢেউয়ে খুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু পাট এবং চটের তৈরি সেলাইবিহীন বস্তা ফেলানোর কারণে বস্তা ছিঁড়ে গিয়ে বালু বের হয়ে যায়। এতে তীর রক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়তে পারে ।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, কাজটি সিডিউল অনুযায়ী করা হচ্ছে, কোন অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান প্রতিবেদককে বলেন, নদী ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ব্যাবহার করার কথা, চটের বস্তা কেন দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে খোজ নেয়া হবে, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
একুশে সংবাদ/ফা.হ.প্র.এএইচবি/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :