পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর বাড়ির উঠানে থাকা পরিত্যাক্ত রিং স্লাবের নিচে মাটি চাপা অবস্থায় চিন্তা ঋষি (৬৬) নামে এক ভিক্ষুক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধারের ৮ ঘন্টার মাথায় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃহ আলামত উদ্ধারসহ দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচন হয়েছে।
আসামীরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা বালাগ্রাম চন্ডীহাটি এলাকার মৃত খগেশ্বরের ছেলে ও চিন্তা ঋষির জামায় মুকুল চন্দ্র রায় (৩৬) ও একই জেলার ডিমরার উত্তর সোনাখুলি এলাকার দেবদাস ঋষির ছেলে ও চিন্তা ঋষির নাতনী জামায় মহাদেব ঋষি (২৫)।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
জানা যায়, গত ৭ বছর আগে পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে চিন্তা ঋষির মেয়ে রেনুর সাথে বিয়ে হয় মুকুলের। এর মাঝে বিষয়টি প্রকাশ পেলে রেনু মুকুলকে তালান দেন। এদিকে রেনুর কাজের সন্ধানে ঢাকায় গিয়ে আল আমিন নামে এক যুবকের সাথে সম্পর্কে জিড়য়ে পড়ে। এর মাঝে তারা দেবীগঞ্জে আসলে মুকুল বিষয়টি জানতে পারে। আর এই পরকিয়ার জেরে রেনুকে হুমকি দিয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটনো হয়েছে। ওই ভিক্ষুক বৃদ্ধাকে প্রথমে গলা কেটে ও শরীরে আঘাত করে হত্যার পর মহাদেব ঋষির সহায়তায় পরিত্যাক্ত রিং স্লাবের ফেলে মাটি চাপা দেয়া হয়।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে দেবীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধার মাটি চাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
একুশে সংবাদ/ড.ব.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :