চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে রাতভর তাণ্ডব চালানো সেই বন্যহাতিকে অবশেষে পাকড়াও করেছে বনবিভাগ। হাতিটি স্কুলছাত্রসহ দুজনকে আছড়ে মারার পর পাকড়াও করা হয়। হাতির তাণ্ডবতার সংবাদ পেয়ে রাজশাহী বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পৌছে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল নাগাত চেতনানাশক পুশ করে হাতিটি ধরতে সক্ষম হয়। অপর সঙ্গী হাতিটিকে আগেই স্থানীয় জনতা আটক করে। এরপর প্রশাসন হাতির মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়। তবে অপর হাতিটি ধরতে বেগ পেতে হয়েছে। তবে প্রাণহানির ঘটনায় নাচোল থানায় ৩০৪/ক ধারায় মামলা হয়েছে। মামলায় আটক পাঁচ আসামীকে আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাচোল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঈনুল জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতেই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এ মামলায় হাতি দুটির মাহুত ও তাদের সহকারীসহ ৫ জনকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কালাম, শুকুর, আজিজুল এবং হারুনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। হাতির আক্রমণে আদিবাসী রামপদর মৃত্যুর ঘটনাস্থল রাজশাহীর তানোর থানাধীন হওয়ায় তানোর থানা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
বগুড়া থেকে সার্কাসের দুটি হাতি নিয়ে মাহুত (হাতির রাখাল) ও তাদের সহকারীরা গত কয়েকদিন ধরে নাচোলে এসে চাঁদাবাজি করছিলেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার থেকে একটি হাতি অনিয়ন্ত্রিত আচরণ করতে শুরু করে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের মানিকড়া গ্রামে স্কুলছাত্র মো. মুফাসসির হোসেন ও বিকেলে পাশের তানোর থানাধীন জুমারপাড়ায় রামপদকে শুঁড় দিয়ে আছড়ে ও পিষে মারে। নষ্ট করে ফেলে প্রায় পাঁচ বিঘা জমির ধান।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :