নীলফামারীতে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত যুবক, জেলা সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের হরতকীতলা ঘোণপাড়া এলাকার শ্রী বিরেণ চন্দ্র রায়ের ছেলে তপন চন্দ্র রায় (২৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত তপন চন্দ্র রায় কিছুদিন ধরেই শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে টাকা দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর রাত ৯টায় অভিযুক্ত ও গ্রেপ্তারকৃত যুবক শ্রী তপন চন্দ্র রায় একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী শাপলা (ছদ্দনাম) কে ২০ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিয়ে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ীর পাশ্ববর্তী নির্মাণাধীন টয়লেটের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধী কিশোরী তার দাদীর সাথে কথা বলার সময়ে জ্যাকেটের পকেট থেকে ২০ টাকার একটি নোট বের করে দেখালে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা-মা ২০ টাকার নোট দেখতে পেয়ে কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে পুরো বিষয়টি বাবা-মাকে জানায় ভুক্তভোগী শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী। এ বিষয়ে বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে নীলফামারী থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর মা রশিদা বেগম।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ভুক্তভোগী কিশোরীর মা রশিদা বেগম বলেন, আমার মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী। আমার মেয়েকে স্কুলে দিয়েছিলাম। সে কিছুটা হলেও পড়তে ও লিখতে পারে। সরকার আমার মেয়েকে নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করে। পাশাপাশি আমার স্বামী যেটুকু আয় করে তা দিয়েই আমাদের চলে। অভিযুক্ত তপন চন্দ্র ভিন্ন ধর্মের। দু’দিন আগেও আমার বাড়ীতে দিন মজুরের কাজ করেছে। আমার মেয়েটা শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাল-মন্দ বোঝার ক্ষমতা তার নেই। অভিযুক্ত তপন চন্দ্র বেশ কিছু দিন ধরে আমার মেয়েকে টাকা দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে আসছে। সামান্য কয়টা টাকার লোভ দেখিয়ে আমার মেয়েটার সর্বনাশ করলো। আমি এর বিচার চাই।
নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা রশিদা বেগম নীলফামারী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করলে, ভিকটিমের জবানবন্দীসহ যাবতীয় আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। মামলাটি থানায় রুজু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে আমরা গ্রেপ্তার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। যার মামলার নম্বর-২১/৩৮৬, তারিখ:১৪ নভেম্বর, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধীত/০৩) এর ৯(১)।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :