পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে নতুন ভবন নির্মাণে চাঁদার দাবি করেন স্থানীয় কয়েক জন ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থিত কর্মীরা। এর প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হলে তিনি নির্দিষ্ট একটি অংকের টাকা নির্ধারণ করে তা পরিষোধ করতে বলেন ভুক্তভোগী পরিবারকে।
নির্ধারিত ওই টাকা না দেওয়ায় গত রবিবার মধ্যরাতে নির্মাণাধীন ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে চেয়ারম্যানের কর্মীরা।
ভুক্তোভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওমালা ইউনিয়নের পূর্ব নওমালা গ্রামের বাবুরহাট এলাকার আমির হোসেন মৃধার ছেলে দুলাল মৃধা ও হাবিব মৃধা নামে দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে আছেন। সম্প্রতি প্রবাসী ওই দুই ভাই বাবুরহাট বাজারে ভবন নির্মান করতে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুসারী মাঈনউদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দিলে ভবন নির্মান করতে দেওয়া হবেনা বলেও হুমকি দেন তারা।
সোমবার ওই ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্ততির সময় মাঈনউদ্দিন তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে সেন্টারিংয়ের বাঁশ ফেলে দেয়। এসময়ে ভুক্তোভোগী হাবিব সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। রাত ২টার দিকে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে আসেন।
এর আগে চাঁদা দাবি করার বিষয়টি আমির হোসেন নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.কামাল হোসেন বিশ্বাসকে জানান। চেয়ারম্যান মিষ্টি খাওয়ার জন্য তার অনুসারীদের ১০হাজার টাকা দিতে বলেন। ভুক্তভোগী পরিবার ১০হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাঈনউদ্দিনের (৩৫) নেতৃত্বে সাদ্দাম (২৮) , মহিবুল (৪৫), রিয়াজ (৩০), হাসান (২৮), কামাল প্যাদা (৫৫), মাসুদ প্যাদা (২৭), জুয়েল হাওলাদার (২৫), ও রাকিব চৌকিদার (৩০) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, হামলার আশংকায় আমরা নির্মাণাধীণ ভবনে পরিবারের কয়েক সদস্য নিয়ে পাহারায় ছিলাম। রাত ১টার দিকে মাঈনউদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২জন লোক আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় মাঈনউদ্দিনের হাতে বন্দুক ছিল।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মাঈনউদ্দিনের মুঠোফোনে (০১৭৬৭৭৯৮৪১৫) একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যপারে নওমালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা স্থানীয় বিরোধ। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখবো।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, এবিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :