মানিকগঞ্জে স্কুল শিক্ষকসহ একই পরিবারের ৩ জনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাগজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক নবীনূর রহমান (৩৬), তার বড় ভাই মোবারক হোসেন (৪৬) ও ভাতিজা কলেজ শিক্ষার্থী মাহিন আশরাফ জোহাস (১৭)।
এদের মধ্যে মোবারক হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঢাকায় তেজগাঁও বিজিপ্রেসে কর্মরত আছেন।
এছাড়া স্কুল শিক্ষক নবীনুর রহমান নবীন ও মাহিন আশরাফ জোহাসকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক নবীনূর রহমান বলেন, আমি স্কুল থেকে দুপুরে বাড়িতে প্রবেশ করার সময় দেখতে পাই রাশেদ মোশারফ ইমন, তারা মিয়া, সোহান, সোহেবসহ আরো কয়েকজন বহিরাগত আমার বড় ভাই ও ভাতিজাকে এলোপাতারি রড ও ধারালো ছুরিকাঘাত করছে। পাশাপাশি বাড়ির মহিলাদের উপরও হামলা করে তারা। এই অবস্থা আমি এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা আমার মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও কিল ঘুষি মারতে থাকে। আমি তাদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেও আমাদের তিনজনকে ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে।
কলেজ ছাত্র মাহিন আশরাফ জোহাস বলেন, ওই সন্ত্রাসীরা প্রথমে আমাকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমাকে বাঁচাতে আমার বাবা এগিয়ে এলে তারা বাবার হাতে ছুরিকাঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যখম করে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার ছোট চাচা এ গেলে তাকেও ছুরি দিয়ে মুখে আঘাত করে এবং কিল ঘুষি মারে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক জানান, সামান্য ঘটনায় মোবারক, নবীন ও জোহাসের ওপর হামলা চালানো হয়। আমি এগিয়ে এলে ওরা আমাকেও আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শাহরিন গিতি বলেন, মারামারির ঘটনায় তিনজনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে মোবারক হোসেনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হয় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। ছুরিকাঘাতে তার হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। এছাড়া নবীনুর রহমান নবীন ও মাহিন আশরাফ জোহাস আমাদের হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, মারামারি ঘটনাটি আমরা জেনেছি। তবে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/সা.খ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :