পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে পিটিয়া আহত করা ও শিক্ষককে ছাত্রীর অভিভাবকদের মারধর ও লাঞ্ছিত করায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
থানায় লিখিত অভিযোগ জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার পরীক্ষা চলাকালীন সময় সাইমুন জাহান ফারিয়া ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর না পারায় শিক্ষক আবু হানিফের কাছে একাধিকবার সাহায্য প্রার্থনা করলে শিক্ষক রাগান্বিত হয়ে তাকে মুখমন্ডলে চর থাপ্পর মারে। এতে শিক্ষার্থী কানে ও মুখে আঘাত পায় এবং মানষিকভাবে ভয় পায়।
পরীক্ষা পুরোপুরি না দিয়ে সে বাড়ীতে চলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরেরদিন কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ডাক্তার দেখে তাকে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: দ্বীপ্ত কুন্ডু বলেন, শিশুটির কানে এবং মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষাথীর মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় (১৮ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হাফিফের বিরুদ্ধে কাউখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একই দিন শনিবার শিক্ষক মোঃ আবু হানিফের থানায় অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, উক্ত ছাত্রী তার কাছে একাধিকবার প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে বিরক্ত করায় তিনি ধমক দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বলেন।
পরীক্ষা শেষে তিনি বাজারের মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর ছাত্রীর ভাই সজীব খান, মহসিন মন্টু ও ইয়াসিন খান তাকে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন।
এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম জানান, ছাত্রীকে মারধর করা হয়নি বরং শিক্ষককে ছাত্রীর ভাই লাঞ্ছিত করেছে।
অভিযুক্ত সজীব খান বলেন, আমার বোন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, অসুস্থতার কারনে সে বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, আমি ছাত্রীকে মারধর করি নাই উল্টো ছাত্রীর ভাই আমাকে বাজারে বসে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকারিয়া বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সব্রত রায় বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি যাহা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু একজন শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
একুশে সংবাদ/স.ব.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :