জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার একাধিক স্থানে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে চলছে অপরিকল্পিত ভাবে নদী ও ফসলি জমির মাটি কাটা। এতে ফসলি জমি বিলীন হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার দিয়ে প্রতিনিয়ত কৃষি জমি ও নদী থেকে মাটি উত্তোলন করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চক্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের চর নাদাগাড়ী বাঁধের মাথা এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার ফলে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে গভীর খনন করার কারনে চারপাশের মাটি দেবে ভেঙে পড়ছে ড্রেজারের গর্তের মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে জোর পূর্বক ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রয় করে দিচ্ছে। মাটি পরিবহনের জন্য মাইলের পর মাইল পাইপ সংযোগ দিয়ে চলছে পকুর কিংবা অন্য ফসলি জমি ভরাটের কাজ। অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণে ৫০-৬০ ফুট গভীর থেকে মাটি ও বালি উত্তোলনের কারণে বাধ ও বাজার হুমকির মুখে এবং আশ-পাশের ফসলি জমিগুলো ডোবায় পরিণত হচ্ছে। এতে করে পরিবেশ ভারসম্য হারাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান প্রশাসনের লোকজন অভিযানে এসে এর আগে একবার বন্ধ করে দিলেও সেটা দুই একদিনপর আবারো মাটি কাটার কাজ শুরু করেন। একই অবস্থা উপজেলার একই ইউনিয়নের শুভগাছা চরের পাট গবেষণা ইনিস্টিউট সংলগ্ন। ওই এলাকায় ডাবলু খা নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী পাট গবেষণা ইনিস্টিউটের সংলগ্ন থেকে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, কোনভাবেই ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করা যাচ্ছেনা। এর আগে প্রশাসনের সাথে কথা বলে বাঁধের মাথার ড্রেজারটি বন্ধ করা হয়েছিল কিন্তু কয়েকদিন পরে আবার মাটি কাটা শুরু করেছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমেনা খাতুন জানান ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। আগামীকালই খোঁজ নিয়ে দেখতেছি।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :