কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বেওয়ারিশ কুকুরের ছড়াছড়ি। ২ দিনে কুকুরের কামড়ে অন্তত ৫ জন আহত হয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জলাতঙ্কের টিকার সর্বরাহ না থাকায় এবং বেওয়ারিশ এসব কুকুর নিধনে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, উপজেলা সদরের প্রতিটা অলি গলিতে এবং প্রত্যন্ত এলাকাতেও বেওয়ারিশ কুকুরের ছড়াছড়ি। সারাক্ষণ এসব কুকুর দল বেধে ঘুরে। অনেক সময় হামলে পড়ে পথচারিসহ শিক্ষার্থীদের উপর। গত ২ দিনে উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের অক্ষর মোড় এলাকায় কুকুরের কামড়ে ৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষসহ গরু- ছাগলকে কামড়ানোর খবর পাওয়া গেছে।
গত বুধবার বিকেলে কুকুরের কামড়ে অক্ষর মোড় এলাকার হাসেন আলী (৭০) ও আসিফ বাবু (১২) নামের দুজন আহত হন। আসিফ বাবুর পিতা শাহজাহান আলী জানান, আমার ছেলে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে। সাথে সাথে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেছি। কিন্তু হাসপাতালে কোন ভ্যাকসিন না থাকায় ডাক্তার লিখে দিয়েছে সেই ভ্যাকসিন ফার্মেসি থেকে কিনতে হয়েছে।
বরকত উল্লাহ, শের আলী সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা গরিব মানুষ। সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন নাই। এতো টাকা দিয়ে বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনবো কিভাবে।
কুকুর কামড়ালে তাৎক্ষণিক আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন, কুকুর কামড়ালে প্রথমে ক্ষতস্থান চেপে ধরতে হবে। যাতে তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হাল্কা গরম পানি দিয়ে এবং খার জাতীয় বা সাবান দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে ক্ষত পরিষ্কার করতে হবে । যতটা সম্ভব আক্রান্ত স্থানকে উঁচু করে রাখার চেষ্টা করতে হবে। পরবর্তীতে সরকারি ভাবে হলে ৪টি আর বেসরকারি ভাবে হলে ৫টি ভ্যাকসিন শূন্য, তৃতীয়, সপ্তম, ১৪ ও ২৮ তম দিবসে দিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সর্বরাহ না থাকায় সপ্তাহ খানেক যাবত এ সেবাটি বন্ধ রয়েছে। তবে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন সুবিধা চালু রয়েছে। তিনি আরো জানান আগামী মাসিক মিটিং এ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সাথে স্বমন্নয় করে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :