গাজীপুরের শ্রীপুরে এক পল্লী চিকিৎসকের উপর হামলা করে বসতবাড়ি ভাংচুর ও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের নিমাইচালা এলাকায় গত ২১ নভেম্বর ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় পল্লী চিকিৎসক আতাউর রহমান ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় আতাউর রহমানের ছেলে আলী হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- নিমাইচালা গ্রামের তাইজ উদ্দিন শেখ ও তার ছেলে শাকিল, মৃত ছফির উদ্দিন শেখের ছেলে সৌরভ,মৃত বাবুল শেখের ছেলে নাঈম সহ অজ্ঞাত ৪/৫জন।
স্থানীয় মহসিন শেখ, আবুল হোসেন,আফাজ উদ্দিন সহ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন ভোর সকালে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে প্রবেশ করে বিদ্যুত বিলকে নিয়ে আতাউর রহমান ও তাইজুদ্দিনের এর মধ্যে তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতি হয়।
এর একপর্যায়ে তাইজ উদ্দিন মাথায় সামান্য আঘাত লেগে আহত হন । এতে বাড়িতে ফিরে যান আতাউর রহমান। পরবর্তীতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতাউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় তাইজুদ্দিন ও তার পরিবারে লোকজনেরা। বসতবাড়ি ভাংচুর করেন রক্তাক্ত জখম করেন পল্লী চিকিৎসক ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন কে।
তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোক জন এেসে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এঘটনায় স্থানীয়রা তাইজুদ্দিন ও তার পরিবারকে অনেক ফেরানোর চেষ্টা করলেও কোন লাভ হয়নি। অভিযুক্তদের কাউকে
ঘটনার পর সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে তাইজুদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁরা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মোঃ নাসিম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ট.আই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :