কমলগঞ্জে গঁঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে চা শ্রমিকদের ২৩তম কাত্যায়ানী পূজা। কাত্যায়ানী পূজা উপলক্ষে কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানের সনাতনী ভক্তবৃন্দের আয়োজনে পুরো কার্তিক মাস ব্রত পালন শেষে রোববার রাত থেকে বাগানের বিভিন্ন মন্দিরে হরিনাম কীর্তন শুরু হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভোর রাত থেকেই হাজার হাজার ভক্তরা গঁঙ্গা স্নান ও পূঁজা অর্চনা করতে হীরামতি এলাকার ধলাই নদীর তীরে সমবেত হয়।
প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঁঙ্গা স্নান ও পূজার্চ্চনা চলে সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত। নদীর ঘাটে স্নান করতে আসা পূজারীদের মধ্যে প্রসাদ হিসাবে খেছুরি বিতরণ করেন পুঁজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা।
পূঁজায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলী, মাধবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষী নারায়ণ সিংহ, মাধবপুর সাংবাদিক সাজেদুর রহমান সাজু, আব্দুল হামিদ, আসহাবুজ্জামান শাওন, মাধবপুর চা বাগানের টিল্লাক্লার্ক কঙ্কন ছত্রী, রামবাবু দাস প্রমুখ। গঙ্গা পূজার উযয়াপন কমিটির সভাপতি শ্রী লক্ষী নারায়ণ করি (দাদু), সহ-সভাপতি পার্থ কাহার ও সাধারণ সম্পাদক রাজু করি জানান, ভগবত পুরাণ গ্রন্থের দশম স্কন্দের দ্বাবিংশ অধ্যায়ে কাত্যায়ানী ব্রতের উল্লেখ আছে। এই কাহিনী অনুযায়ী ব্রজের গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিরূপে কামনা করে সমগ্র কার্তিক মাস জুড়ে এই ব্রত করেন মহিলারা। এই এক মাস তারা মশলাবিহীন খিচুড়ি ও সিদ্ধজাত খাবার খেতেন এবং সকালে ধলাই নদীতে স্নান করে নদীর তীরে মাটির কাত্যায়ানী মূর্তি গড়ে দেবীর পূঁজা করা হয়। এরপরই নদীতে স্নান করে ভক্তরা বাড়ী ফিরে যান। সোমবার গঁঙ্গা স্নানের আর পুঁজার্চ্চনা মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে চা শ্রমিকদের ২৩তম কাত্যায়ানী পূঁজা।
একুশে সংবাদ/প.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :