রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে মাত্র দুইজন। ওই দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন পেয়েছে জিপিএ ৫। প্রতিষ্ঠানটির গড় পাশের হার ২.৬৭ শতাংশ। এই ফলাফলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালে কলেজটি জাতীয় করণ হয়। এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ সহ পাঠদানের জন্য রয়েছে ২৭ জন শিক্ষক ও ১৪ জন কর্মচারী।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা জানান, কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এইচএসসির ফলাফল মোটামুটি ভালোই ছিলো। তবে জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের ঠিকমতো পাঠদান না করানোর ফলেই এমন রেজাল্ট হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রেজাল্টের অবস্থা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ মো. নবিউল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার কল দিয়েও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। অন্যান্য শিক্ষকরাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
পরে সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজমল আল বাহারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের এলাকা থেকে কলেজ অনেক দুরে। এজন্য নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীরা যাতে কম খরচে লেখাপড়া করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যখন ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে কলেজ পরিচালনা হত তখন রেজাল্ট অনেক ভালো ছিল। প্রধানমন্ত্রী কলেজটি সরকারি করেছে। আমরা ভাবলাম কলেজে লেখাপড়ার মান আরো বাড়বে। কিন্তু সরকারি হবার পর থেকে লেখাপড়ার মান আরও খারাপ হয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সরকারি হবার পর শিক্ষকদের শ্রেণি কক্ষে যাবার পরিমানও কমেছে। ফলে এমন ফলাফল। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমার দাবি কলেজটির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় তদন্ত করুক।
একুশে সংবাদ/জ.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :