প্রকৃতিতে এখন শীতের আগমনী বার্তা। ভোর আর সন্ধ্যায় হালকা হিম ভাব জানান দিচ্ছে প্রকৃতির দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। শীত মানেই পিঠা-পুলির স্বাদ। শীত আর পিঠার যেন অন্য রকম মিতালি।
আর এই শীতের শুরুতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে পাবনার ভাঙ্গুড়ার ফুটপাতগুলোতে। হরেক রকমের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে ভিড় করছেন ভোজনরসিকেরা। বিকেল হলেই ভিড় করছেন তাঁরা ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটের এক কোনায় রাস্তার পাশে পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকান। শীতের সন্ধ্যায় সেখানে পিঠা খেতে ভিড় জমিয়েছে নানা বয়সী মানুষ। পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।
দোকানগুলোতে কাঠ-খড়ি দিয়ে জ্বলছে দুটি করে চুলা। একটিতে মাটির খোলা, অন্যটিতে ভাপা পিঠা তৈরির পাতিল বসানো। পিঠা তৈরির ছাঁচে চালের গুঁড়া নিয়ে তার ওপর গুড়, নারিকেল ছিটিয়ে দিয়ে ভাপে দিচ্ছিলেন দোকানিরা। খোলায় বানানো হচ্ছিল চিতই পিঠা। তৈরি হতেই গরম-গরম ধোঁয়া উঠছে পিঠায়। ক্রেতাদের জন্য চিতই পিঠার সাথে ধনেপাতা, কালোজিরা, শুঁটকিসহ নানান ধরনের ভর্তা দিয়ে পরিবেশন করছেন।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া থেকে পিঠা খেতে আসা শেখ শফিউল্লাহ কাওসার বলেন, ‘এখন আর আগের মতো গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না। তাই বলে শীত এলে পিঠা খাব না তা তো হবে না। সে জন্য ছোট ভাইদের নিয়ে ফুটপাতের দোকানে পিঠা খেতে এসেছি। বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে গরম-গরম চিতই পিঠা খেতে ভালোই লাগে।’
উপজেলার পিঠা বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, শীতের শুরু থেকেই পিঠা বিক্রি করছেন। বিকেল থেকে রাত ১০টার মধ্যে প্রায় ২০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি হচ্ছে। এ সময় কেউ এখানে বসে গরম-গরম খাচ্ছে, আবার অনেকে নিয়ে যাচ্ছে। এখনো ভালোভাবে শীত পড়ে নাই। কিছুদিন পর থেকে প্রায় ২৫-৩০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি হবে। শীত যত ঘনিয়ে আসবে, পিঠার চাহিদা ও বেচা-বিক্রি তত বাড়বে বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :