নাটোরের বড়াইগ্রামে পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত পাট উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণে দৃশ্যত অনিয়ম চোখে পড়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে একদিনের অনুষ্ঠিত ওই প্রশিক্ষণে প্রকৃত কোন পাট চাষীকে দেখা যায়নি।
মোট ৭০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর অনুসারী কর্মী ও ওই সংসদ সদস্যের মালিকাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ছিলে অর্ধেকের মতো। বাকী অর্ধেক ছিলো স্থানীয় বিভিন্ন নেতাদের মনোনীত কর্মী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও পাট অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন লোকজন। উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রতিজন একটি করে উন্নতমানে পাটের ব্যাগ, কলম, খাতা, দুপুরের খাবার ও নগদ ৫শত টাকা প্রশিক্ষণ সম্মানী পায়। প্রকৃত পাট চাষী প্রশিক্ষণটি না পাওয়ায় সরকারী অর্থ গচ্ছা ও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে বলে মত প্রকাশ করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণটি উদ্বোধন করেন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মোছা. মরিয়ম খাতুন। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রাসেল।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন জুয়েল। এছাড়া রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, অন্যদের মধ্যে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু হানিফ, উপজেলা পাট অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান, পাট উন্নয়ন অধিদপ্তর নাটোরের মুখ্য পরিদর্শক আব্দুল হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে অনিয়ম প্রসঙ্গে উপজেলা পাট অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, আমরা সঠিক পাটচাষীদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছিলাম। কিন্তু এমপি মহোদয় সেগুলো কেটে তার পছন্দমতো নাম পাঠায়। আমরা সে মতে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
নিম্নমানের দুপুরের খাবারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেট বা খাবারের কোন তথ্য তার জানা নাই। এগুলো জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জানেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :