ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’র প্রভাবে গত দুইদিন থেকে রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে সর্বসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্মে কিছুটা ভাটাও পড়েছে। বৃষ্টির সাথে সাথে ঠান্ডাও অনুভূত হচ্ছে। কর্মজীবীদের শীতের পোশাক পড়ে অফিস আদালতে যেতে দেখা গেছে। অপরদিকে শিশু ও বৃন্ধদের শীতের শুয়েটার-চাঁদার মুড়ি দিয়ে বের হতে দেখা গেছে। থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঠান্ডার আবহাওয়াতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে তেমন বের হতে দেখা যাচ্ছে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ১০ মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
মেঘলা আকাশ আর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে। আকাশের মেঘ কেটে গেলে শীত বেশি অনুভুত হতে পারে। তবে পুরোপুরি শীত আসতে দেরি আছে।
এর আগে গতকাল বুধবার দিনভর মেঘলা আকাশের কারণে সূর্যের তেমন দেখা মেলেনি। আবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। একই অবস্থা বৃহস্পতিবারের। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, আকাশে মেঘ রয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝড়ছে। গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবারও দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে তিনটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে বাংলাদেশে। গত ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। গত ২৪ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এরপর ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ বাংলাদেশে আঘাত হানে।
একুশে সংবাদ/আ.ব.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :