টানা দুই দিন বৃষ্টির পর হিমেল হাওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জেঁকে বসেছে শীত। রাতে ও সকালে টুপটাপ করে ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালই জানান দিচ্ছে ঠান্ডা জেঁকে বসার কথা। আর শীতের প্রকোপে চাহিদা বেড়েছে গরম কাপড়ের। জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার।
এ দিকে ঠান্ডার কারণে লেপ-তোশকের দোকানেও ভিড় বেড়েছে। কয়েক দিন আগেও কারিগরেরা বসে দিন কাটিয়েছেন। কয়েক দিনের ব্যবধানে হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততাও বেড়েছে কারিগরদের।
উপজেলার বেশ কয়েকজন লেপ-তোশকের কারিগর বলেন, ‘কুয়াশা ও বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে গেছে। ঠান্ডার কারণে লেপ-তোশকের চাহিদাও বেড়েছে। দোকানে কাজ বেড়ে যাওয়ায় কিছুদিন ব্যস্ত থাকতে হবে।
অটো ভ্যানচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরেও এ সময় এমন শীত তেমন একটা বোঝা যায়নি। এ বছর অগ্রহায়ণ মাসের শেষ থেকেই শীতের তীব্রতা দেখা যাচ্ছে। শীত বেশি থাকলে ভ্যান নিয়ে বের হওয়া কষ্ট হয়ে যায়। তবুও পেটের দায়ে কাজে বের হতে হয়। এ দিকে কনকনে শীতের কারণে এলাকায় বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা।’
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক হাট শরৎনগর বাজারে ফারুক সরকার, ওসমান গনি, আব্দুল মজিদ নামের গরম কাপড় ক্রেতা বলেন, ‘যে পোশাক বিপণিবিতানে চড়া দামে বিক্রি হয়, তা ফুটপাতে অনেক কম দামে কিনতে পারছি।’
উপজেলার ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, এবার আগাম শীত আসায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিনই গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তবে পুরো শীত পড়লে এ বছর ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করেছেন তারা।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :